(এটা কোন গোয়েন্দা গল্প নয়)
আজকে অনেক, অনেক আন্তরিক ব্যবহার করতে হবে। দরজায় দাড়িয়ে ভাবল স্যামুয়েল কার্টার। বাঙ্গালীরা আসলে ওয়ান নম্বর গবেট। একটু আন্তরিক ব্যবহার করলেই একদম গলে যায়। জোরে জোরে পাচবার দম নিল। জোরে দম নিলে মনের জোর বাড়ে।
দরজাটা হাট করে খোলা ছিল। ঠেলে ভেতরে ঢুকল ও। আফজাল মোহাম্মাদ একমনে কাজ করে যাচ্ছে। স্যামুয়েল যে দরজা ঠেলে ল্যাবরেটরির ভেতরে ঢুকেছে তা ও টেরই পায় নি। চুপি চুপি একদম আফজালের কাছে এসে পড়ল স্যামুয়েল। আফজালের কাধে হাত রাখল।
“উহ” একটা চিতকার করে লাফ দিয়ে উঠে পড়ল আফজাল। ঘুরে উঠে দেখল স্যামুয়েল দাড়িয়ে আছে। দাত কেলিয়ে হাসছে।
“আরে স্যাম যে! কেমন আছ?” বলল আফজাল।
“এমনভাবে লাফ দিয়ে উঠলে যে মনে হচ্ছে তোমাকে ছোরা দিয়ে গুতা দিয়েছি।” হাসতে হাসতে স্যামুয়েল বলল।
“আর বল না। তুমি তো জানই আমার কনসেনট্রেশন একটু বেশি। বেশি মনযোগ দিয়ে থাকি তো, তাই কোন কারণে কনসেনট্রেশন ব্রেক হলেই চমকে উঠি। তুমি আবার ভেব না যেন আমার হার্টে সমস্যা।”
“থাকতেও তো পারে। এতটা নিশ্চিত হলে কিভাবে? কত রকম লুকানো সমস্যাই তো শরীরে বাসা বেধে থাকে।”
“উহু, তা হবার নয়। ডাক্তার দিয়ে ভালমত সব চেক-আপ করিয়েছি।”
“তাই? তাহলে তো ভালই। তারপরও আমার মনে হয় তুমি আরেকবার চেক-আপ করিয়ে নিও। বরং মাঝে মাঝেই একটু চেক-আপ করিও। এত যে চমকে ওঠো এতে তো হার্টে একটু চাপ পড়ে বৈকী।”
“সেটা অবশ্য ঠিকই বলেছ। ঠিক আছে রাখব তোমার কথা।”
“এবার বল অ্যাফজ্যাল, আছ কেমন? দুই সপ্তা পড়ে তো আজকে দেখা হচ্ছে।”
“জানই তো গবেষকরা একটু-আধটু মানসিক প্রতিবন্ধী, জাগতিক সেন্স একটু কম থাকে। আমার সেন্স আরও কম। দু:খ-কষ্ট এসব ফিল হয় না কখনো।”
“তবে আমার মনে হচ্ছে এই মুহূর্তে তুমি ভাল নেই। চোখ-মুখ একদম শুকিয়ে গেছে। সকালের নাস্তা হয় নি নিশ্চয়।”
স্যামের কথা শুনে পেটে হাত দিল আফজাল। দেখল পেটের পুরুত্ব অনেক কম। তার মানে সকালের নাস্তা হয় নি।
“তুমি ঠিকই বলেছ স্যাম, মনে হয় সকালে খাওয়া হয় নি। তুমি দশ মিনিট বসো, আমি একটু খেয়ে আসি।” বলেই আফজাল দৌড় মারল কিচেনের দিকে।
ইয়েয়য়য়য়য়য়য়য়য়য়য়য়স! এটাই তো চাচ্ছিল স্যাম। এমন সুযোগ আসলে বিধাতা প্রদত্ত না হলে হয় না। ব্যাটা যদিও এক জিনিস নিয়ে বসলে অন্য দিকে কী হচ্ছে কিছুই দেখে না, তারপরও ও বসে থাকলে ওর সামনে সব কাজ কি করা যেত!
তাড়াতাড়ি হাত চালাতে লাগল স্যাম। ওর হাতে মাত্র দশ মিনিট সময়। বা তারও কম। আফজাল বলেছে দশ মিনিটে ফিরবে, কিন্তু ও তার আগেই ফিরবে। নাস্তা করতে ও এত সময় লাগায় না।
ব্যাগ থেকে পোর্টেবল হার্ড ড্রাইভটা বের করল। লাগিয়ে দিল সামনে থাকা মিনি কম্পিউটারের পোর্টে। আফজাল আসলেই অনেক গবেট। সব ডকুমেন্ট ডেস্কটপেই রেখে দিয়েছে। কোন সিকিউরিটিও দেয় নি। তাড়াতাড়ি ওটা ওর হার্ড ড্রাইভে সেন্ড করল স্যাম। মাত্র দু’ মিনিটেরও কম সময়ে সেটা স্তানাস্তর হয়ে গেল। ব্যাগ থেকে কালো বাক্সটা বের করল। টেবিলের নিচের যে কাগজের স্তুপটা, সেটার পেছনে রাখল বাক্সটাকে। আর উচ্চ ভলিউমে রিংটোন বেজে ওঠা মোবাইলটা, ওটার স্পিকার বাক্সের ছোট্ট ফুটো সোজা করে রাখল। একবার চেক করে দেখল মোবাইলটা অন আছে কি না। সব শেষে যখন সব কিছু ঠিকঠাক তখন সে হাত-পা গুটিয়ে ভদ্রলোকের মত বসে রইল।
মনের বিষন্নতা হল পৃথিবীর সবচে’ বড় সুখহীনতা। আশেপাশে কষ্টের কোন উপাদান না থাকলেও সে নিজে নিজে সৃষ্টি করে একটি আপেক্ষিক কষ্টের বলয়। আর নরক যন্ত্রণায় পোড়াতে থাকে সে বলয় দিয়ে।
বিষন্নতার সে বলয় আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরেছিল স্যামকে। কোনভাবেই মুক্তি পাচ্ছিল না। রীতিমত বিদ্ধস্ত, ক্লান্ত। কিছুটা মুক্তির আশায় গিয়েছিল সপ্তাখানেকের জন্য প্রবাল দ্বীপে বেড়াতে। বিকেলের পড়ন্ত রোদে একাকী বসেছিল একটা প্রবালের উপর। হতাশায় জর্জরিত। ভাবছিল কী করবে এখন সে, কোথায় করবে আর কিভাবেই বা করবে। ঠিক সেই সময়ই ওর মাথায় আইডিয়াটা আসে। মনে মনে উতফুল্ল হয়ে ওঠে ভীষণ। ও ভালমতোই বুঝতে পারছিল পেপার্সটার মূল্যটা। এক বার পেপার্সটার কথা শুধু কনফারেন্সে উচ্চারন করলেই মুহুর্তের মধ্যে সারা পড়ে যাবে গোটা বিশ্বে। ইলেকট্রনিক মিডিয়া হুমড়ি খেয়ে পড়বে ওর উপর ডকুমেন্টারি বানানোর জন্য। পেপার মিডিয়া পাগল হবে নিউজ বানাতে। ডাক পড়বে কত-শত সায়েন্স অর্গানাইজেশন থেকে। আর পকেটে আসবে টাকা আর টাকা। কিন্তু তার জন্য আগে বেশ বড় একটা কাজ করে ফেলতে হবে তাকে।
“ফোর ডাইমেনশনাল অবজেক্ট: রেন্ডারিং এ্যান্ড প্রসেস” – এটাই ছিল ওদের গবেষণার বিষয়বস্তু। আফজালের সাথে ওর পরিচয় বছর দুয়েক আগে। সেই পরিচয় একসময় বন্ধুত্বে রূপ নেয় আর বছর খানেক আগে সৌভাগ্যক্রমে দু’ জন একই সাথে গবেষণা করার সুযোগ পায় স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এ্যান্ড টেকনোলজিতে ওই টপিকটার উপর।
কিন্তু সৌভাগ্যটা স্যামের জন্য বেশি দিন স্থায়ী হল না। গবেষণার সময় যত গড়িয়ে যেতে থাকে, ক্রমেই বিষয়গুলো যত অ্যাডভান্স লেভেলে চলে যেতে থাকে আর বিষয়গুলো হয়ে ওঠে কমপ্লেক্স। তখনই স্যাম তার অপারগতা বুঝতে পারে। বুঝতে পারে এ কম্ম তার জন্য নয়। এই লেভেলে কাজ করার মত মেধা বা জ্ঞান কোনটাই তার নেই। ওই ব্যাটা আংশিক মানসিক প্রতিবন্ধী অ্যাফজ্যাল পারতে পারে এটা, স্যাম নয়। তখনই সে কাজে ইস্তফা দিয়ে বেরিয়ে আসে। আর কাকতালীয়ভাবে তখন থেকেই শুরু হয় তার দুর্ভাগ্য। একের পর এক বিপদ নেমে আসে অযথাই। তবে সে কাজ ছেড়ে আসলেও আফজালের সাথে তার ভাল যোগাযোগ ছিল। সহজ-সরল আফজাল ওকে সবসময়ই জানাত আপডেট। এ মুহূর্তে স্যাম জানে গবেষণাটা কত দূর এগিয়েছে, আর ওর স্থির বিশ্বাস সামান্য যে অংশটুকু এখন বাকী আছে, সেটা সে ভালমতোই কমপ্লিট করতে পারবে।
মেধা স্বল্পতার কারণে থিসিস থেকে সরে এলে কী হবে। কুটবুদ্ধিতে কিন্তু কোন অংশেই কম নয় স্যাম। মনে মনে এক মহাধুরন্ধর ফন্দি করে বসেছে ও। বাসায় এসেই স্যাম সেই ফন্দি সফল করার কাজে লেগে গেল।
একটা সার্কিট ডিজাইন করতে বসল ও। পদার্থবিদ্যার লোক ও। অমন সার্কিট ডিজাইন করা ওর জন্য কঠিন কিছু নয়। কী কী লাগবে ভাবতে বসল ও। একটা ইলেকট্রেট মাইক্রোফোন, যেটা সাউন্ড সিগনালকে ইলেকট্রিক সিগন্যাল এ রূপান্তর করবে। একটা রীলে, সুইচিং এর কাজ করবে। প্রয়োজনমত ভোল্টেজ আপ এবং ডাউন করার জন্য কিছু রেজিষ্টর এবং ক্যাপাসিটর। আর আউটপুট পাশে একটা ডিসি মোটর। আর বায়াসিং এবং মোটর অপারেটিং এর জন্য একটা ভোল্টেজ সাপ্লাই।
সার্কিটটার কাজ খুব সিম্পল। ওর দরকার একটি সাউন্ড অপারেটেড সার্কিট। সার্কিটটায় একটা মাইক্রোফোন থাকবে। মাইক্রোফোনে সাউন্ড দেয়া মাত্র সার্কিটটা চালু হবে। অর্থাত মাইক্রোফোনে যখনই সাউন্ড প্রয়োগ করা হবে সার্কিটের রিলেটা অফ থেকে অন পজিশনে যাবে। সাথে সাথে আউটপুট সেকশনে সাপ্লাই যাবে এবং সাথে সাথে মোটরটা চালু হবে। মোটরটার মাথায় থাকবে একটি গিয়ার চাকা।
আর একটা মাত্র জিনিস বাকী। একটা কেমিক্যাল বোমা। সেটাও জোগাড় করা খুব কঠিন কিছু না। কেমিষ্ট বন্ধু হেনরিকে বলে ঠিক ঠিক সে ওটাও ম্যানেজ করে ফেলল। মোটরের মাথায় যে গিয়ার চাকাটা আছে সেটা সংযুক্ত হল কেমিক্যাল বোমাটার সাথে। কেমিক্যাল বোমায় দু’টো কেমিক্যাল আলাদা করে রাখা হয়েছে আর কৌশল করে সেখানে একটা মেটালিক পাত বসানো আছে। মোটরটা চালু হলেই গিয়ারের মাধ্যমে মেটালিক পাতটা সরে আসবে, কেমিক্যাল দু’টোতেই একসাথে ডুবে যাবে। আর তারপরেই?????
বুম!!! সব শেষ।
সবগুলো জিনিস জায়গামত বসিয়ে স্যাম সবগুলোকে একটা মোটা কাগজের কালো বাক্সে ভরিয়ে ফেলল। মাইক্রোফোনটার জায়গায় একটা ফুটো করলো এক বর্গ ইঞ্চির মত করে। সাউন্ড ইনপুট তো ঢুকতে হবে নাকি! – এবং প্রস্তুতিগুলো শেষ হলে শত ভাগ প্রশান্ত মন নিয়ে ঘুমোতে গেল স্যাম।
যাদের আইকিউ একটু ভাল তারা ইতোমধ্যে হয়তো ধরে ফেলেছেন স্যামের কূট-কৌশল, এতসব করে আসলে কী করতে চায় স্যাম। কিন্তু যাদের আইকিউ আমার মতই কম, এখনো বুঝতে পারেন নি, আসুন তাদেরকে আমি বুঝিয়ে দিচ্ছি। কারণ আমিও অনেক পরে বুঝতে পেরেছি ব্যাটার কূট-কৌশল।
স্যাম যে সার্কিটটা বানালো সেটা আসলে একটা সাউন্ড অপারেটেড সার্কিট। সাউন্ড পেলে এ্যাকটিভ হয়। মাইক্রোফোনটার সামনে কোন শব্দ করা হলে তখন রিলেটা সুইচ করে আর সার্কিটটা চালু হয় এবং আউটপুট পাশে সংযুক্ত থাকা যে কোন ডিভাইস রান হয়। সেটা লাইট, ফ্যান, টিভি যেটাই হোক না কেন। ও শুধু সে জায়গাটাতে একটা মোটর বসিয়ে নিয়েছে। লাইট জ্বলার বদলে মোটরটা চালু হয়ে যাবে। মোটরের সাথে লাগানো গিয়ারটা ঘুরে উঠবে, গিয়ার ঘুরলে মেটালিক পাত সরে গিয়ে ডুবে যাবে কেমিক্যালে। আর তারপর? বুম!!!
এবার আশাকরি বুঝতে পেরেছেন।
আরও প্রশ্ন? এটা সে কোথায় ব্যবহার করবে? আরে বাবা এতক্ষণ পরে যদি বলেন সীতা রামের মাসি তাহলে হয় কী করে? এটা সে ব্যবহার করবে আফজালের ল্যাবরেটরিতে। আবার কী? কেন?
হায় হায়! খোদা! আপনার বুদ্ধ্যঙ্ক অনেক কম সাহেব। স্যাম আর আফজাল যে টার্মটা নিয়ে গবেষণা শুরু করেছিল, স্যাম সেখান থেকে সরে এলেও আফজাল সেটা এখনও করছে এবং ও প্রায় শেষের দিকে চলে এসেছে। স্যামকে ওটা বাগিয়ে নিতে হবে। সেটা তো সহজই। কিন্তু সমস্যা হল বাগিয়ে নিতে পারলেই তো শুধু হবে না। আফজালকেও বেহেশতে পাঠাতে হবে। সাথে সাথে সরিয়ে ফেলতে হবে গবেষণার সকল ইলিমেন্ট। না হলে তো স্যাম বাগিয়ে নিয়েই সেটা নিজের বলে দাবি করে বিশেষ সুবিধা করতে পারবে না। যার কারণেই এত সব হাঙ্গামা, যাতে পেপার্সটার আর দ্বিতীয় কোন দাবিদার না থাকে, স্যাম ছাড়া। সবাই জানবে আফজাল মারা গেছে দুর্ঘটনায়।
ও হ্যা আরো একটা প্রশ্ন আছে তাই না? কেমিক্যাল বোমা কেন? আরে বাবা যাতে কোন প্রমান না থাকে, বুঝলেন! সবাই যাতে এটাকে দুর্ঘটনা মনে করে। এবার হল তো?
আফজাল ফিরল একটু পরেই। তার নির্ধারিত দশ মিনিটের আগেই। স্যাম আগের মতই বসে আছে। আফজাল আসতেই লাফ দিয়ে উঠল ও।
“ইয়ে অ্যাফজ্যাল, তোমার এখানে কিছু সময় থাকবো ভেবেছিলাম, কিন্তু হঠাত আমার একটা কাজের কথা মনে পড়ে গেল, আমার এখনই উঠতে হচ্ছে অ্যাফজ্যাল।” বলল স্যাম।
“যাবে? ঠিক আছে যাও তাহলে। আবার এসো সময় করে।”
“শোন একটা সুন্দর জায়গার খোজ পেয়েছি। একদম স্বর্গের মত। তোমাকে আমি নিয়ে যাব সেখানে” বলে কুটিল হাসি হেসে বিদায় নিল স্যাম।
খুশিমনে আফজালের ল্যাব থেকে বের হয়ে এল সে। মিনিট পনের হাটল। যখন দেখল বেশ দূরে এসে পড়েছে তখনই সে পকেট থেকে মোবাইল ফোনটা বের করল। একটা ফোন দিল কালো বাক্সটার পাশে রাখা মোবাইল ফোনে।
তারপরই............................ বুম!!!
রাস্তায় পড়ে রইল স্যামের বিচ্ছিন্ন, টুকরো-টুকরো লাশ।
স্যাম ঘূণাক্ষরেও টের পায় নি যখন সে ব্যাগটা উঠায় তখন বাক্সের নিচ দিয়ে বের হয়ে থাকা ক্যাপাসিটরের একটা বাকা লেগ ওর ব্যাগের সাথে আটকে গেছে। আর মাত্র আড়াই শ গ্রাম ওজনের বাক্সটা ওর ব্যাগে ঝুলতে ঝুলতে ওর সাথেই বের হয়েছে। ও বিন্দু মাত্র টের পায় নি।
নিয়তি আরো এক বার ক্রুর হাসি হাসল।
২৪ জানুয়ারী - ২০১১
গল্প/কবিতা:
১৪ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪